সোমবার, ২৬ মে, ২০১৪

৭৯১৪৭৮ কে ৬ দ্বারা ভাগ করা যায়? ৫ সেকেন্ডে উত্তরটি দিতে চাইলে এই টিউনটি ধীরে সুস্থে পড়ুন। এটি আপনার জন্য মাত্র ৫ সেকেন্ডের মামলা।
হ্যা যা বলছিলাম আর কি, এটা আপনার জন্য মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের মামলা। স্থীর হয়ে বসুন, বিশ্বাস রাখুন নিজের উপর। আপনি কিছুক্ষন পর অবশ্যই একজন যাদুকর বনে যাবেন, আর কঠিন কঠিন সব গাণিতিক সমাধান চোখের পলকেই করে সবাইকে অবাক করে দিতে পারবেন।
অতি কথন পাঠকদের বিরক্তির উদ্রেগ ঘটাতে পারে। আজকে আমি আপনাদেরকে গাণিতিক কিছু টিপস দেব, যা সত্যিই যাদুর মত।
আমি সব সময় আমার উপস্থাপনায় ভিন্নতা আনার চেষ্টা করি, আজকের এই টিউনেও আমার সেই প্রচেষ্টা ছিল, এই প্রচেষ্টার সার্থকতা নির্ভর করবে সম্পুর্নই পাঠকের উপর। অবশ্যই কমেন্ট করবেন, ঘৃণা জানানোর কিছু থাকলেও কমেন্ট করে ঘৃণা ঢালবেন।
আজকের টিউনটি গাণিতিক টিপস এর টিউন, চলুন শিখে নেই টিপস গুলোঃ
১ নাম্বার টিপসঃ আমরা সকলেই জানি ১ দিয়ে সকল সংখ্যাকেই ভাগ করা যায়। সত্যিটা হলো ১ দ্বারা কোন সংখ্যাকেই ভাগ করা যায়না, কারন ১ দ্বারা যে সংখ্যাকেই ভাগ করুন না কেন সব ক্ষেত্রেই ভাজ্য ভাগফল সমান থাকে। সুতরাং ১ যখন ভাজক তখন ভাজক ভাজ্যের একটা পশমও ছিড়তে পারেনা।
এই টিপস হয়ত আপনাদের মন ভরাতে পারেনি। চলুন বাজে টিপস বাদ দিয়ে ২ নাম্বারটা দেখি।
২ নাম্বার টিপসঃ আমরা সকলেই জানি ২ দিয়ে সকল জোড় সংখ্যাকে ভাগ করা যায়। অর্থাৎ যে সকল সংখ্যার শেষের ডিজিট ০,,,৬ এবং ৮ এমন সকল সংখ্যাকে ২ দ্বারা ভাগ করা যায়, সেটা যত বড় সংখ্যাই হোক না কেন। যেমন ১৫১৬৪৭৬৮ কে দুই দ্বারা ভাগ করা যায়, এটা বোঝার জন্য পান্ডিত্য অর্জনের দরকার নাই। যাকগে এটাও ফ্লপ টিপস। এসব আলতু ফালতু টিপস দিয়ে টিউন হয় না। চলুন সামনে আগাই, তা না হলে এডমিন মশাই ফালতু টিউন সিলেক্ট অল করে ডিলিট করে দিতে পারে।

৩ নাম্বার টিপসঃ আচ্ছা বলুনতো ৪৯৪৭০ কে ৩ দ্বারা ভাগ করা যায় কিনা?
অ্যা... অ্যা... অ্যা...
এত সময় নিলেতো চলবে না। বলুন, হ্যা ভাগ করা যায়।
এত তারাতারি ক্যালকুলেটর ছাড়া কিভাবে বলব?
কিভাবে বলবেন, আসেন শিখাই, ৪+৯+৪+৭+০= কত হয়?
২৪ হয়।
২৪ কে তিন দ্বারা ভাগ করা যায়?
হ্যা যায়।
তাহলে ৪৯৪৭০ কেউ ৩ দ্বারা ভাগ করা যায়।
বাহ, কত সহজ। টিপস টা সুপার হিট।
সুতরাং সংখ্যা যত বড়ই হোকনা কেন, একটি সংখ্যার ডিজিট গুলোর যোগফলকে যদি ৩ দ্বারা ভাগ করা যায় তাহলে ৩ দ্বারা ওই সংখ্যাকেও ভাগ করা যাবে।
৪ নাম্বার টিপসঃ ৪১২৫৭৩৬ কে ৪ দ্বারা ভাগ করা যাবে কিনা? ঝটপট উত্তর, হ্যা ভাগ করা যাবে।
৫১২৪৭৮৩৮ কে ৪ দ্বারা ভাগ করা যাবে কিনা? ঝটপট উত্তর, না ভাগ করা যাবে না।
দুটি উত্তর ১০০% সঠিক।
প্রথম সংখ্যার শেষের দুই ডিজিটকে আলাদা সংখ্যা বিবেচনা করলে হয় ৩৬ এবং ৩৬ কে চার দ্বারা ভাগ করা যায়, আর এ জন্যেই এত বড় সংখ্যাকে চার দ্বারা ভাগ করা যায়।।
দ্বিতীয় সংখ্যার শেষের দুই ডিজিটকে আলাদা সংখ্যা বিবেচনা করলে হয় ৩৮ এবং ৩৮ কে চার দ্বারা ভাগ করা যায় না, আর এ জন্যেই এত বড় সংখ্যাকে চার দ্বারা ভাগ করা যায় না।
আশা করি টিপসটা বুঝতে পেরেছেন। এটাও সুপার ডুপার হিট।
৫ নাম্বার টিপসঃ সংখ্যা যত বড়ই হোক না কেন, কোন সংখ্যার শেষ ডিজিট যদি ০ অথবা ৫ হয়, তাহলে ওই সংখ্যাকে ৫ দ্বারা ভাগ করা যাবে। এই টিপসটি সুপার ফ্লপ, মনে হয় সবাই জানেন। কেউ কেউ হয়ত বলছেন, রাসেল ভাই এই সব পুলাপাইনের টিপস থুইয়া আগে বাড়ান
হ ভাই যাইতাছি, এইবার চলেন ৬ নাম্বার টিপসে যাই।
৬ নাম্বার টিপসঃ  ৭৯১৪৭৮ এই সংখ্যাটি ৬ দ্বারা বিভাজ্য?
আমার উত্তর হ্যা। কারন এটি জোড় সংখ্যা, এবং সংখ্যাটার ডিজিট গুলো যোগ করে পাই ৭+৯+১+৪+৭+৮=৩৬, ৩৬। যা কিনা ৩ দ্বারা বিভাজ্য।
৬ দিয়ে ভাগ করার ক্ষেত্রে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে, সংখ্যাটি জোড় হতে হবে এবং সংখ্যার ডিজিট গুলোর যোগফলকে যদি ৩ দ্বারা বিভাজ্য হতে হবে।
সুপার হিট টিপস
৭ নাম্বার টিপসঃ ৭ নাম্বার টিপস, আমি জানিনা। শুধু এটুকু বলে দিলেই হবে। চল ভাই ৭ নাম্বার টিপস থেকে তারাতারি পালাই।
৮ নাম্বার টিপসঃ যদি কোন সংখ্যার শেষ তিন ডিজিড কে ৮ দ্বারা ভাগ করা যায়, তাহলে ওই সংখ্যাকে ৮ দ্বারা ভাগ করা যাবে। যেমনঃ ৪২১৫৫৮ কে ৮ দ্বারা ভাগ করা যায়না, কারন ৫৫৮ কে ৮ দ্বারা ভাগ করা যায়না।
আবার ৫৪১৪৭২ কে ৮ দ্বারা ভাগ করা যায়, কারন ৪৭২ কে ৮ দ্বারা ভাগ করা যায়।
এই টিপসটা সুপার হিট হয় নাই, হিট হইছে।
৯ নাম্বার টিপসঃ কোন সংখ্যার ডিজিট গুলোর যোগফলকে যদি ৯ দ্বারা ভাগ করা যায়, তাহলে ওই সংখ্যাকেও ৯ দ্বারা ভাগ করা যাবে। যেমন ১০৯১৭ কে ৯ দ্বারা ভাগ করা যায় কারন ওই সংখ্যার ডিজিট গুলোর যোগফল ১+০+৯+১+৭=১৮ কে ৯ দ্বারা ভাগ করা যায়। এইবার কে কে বোঝেন নাই হাত তোলেন। কেউ হাত উঠায় না। তাহলে এইটাও সুপার হিট।
১০ নাম্বার টিপসঃ এটা অতি সংক্ষিপ্ত টিপস, শেষে ০ থাকালে হ্যা ভাগ করা যায় বলবেন। আর সব ক্ষেত্রে না


আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন বন্ধুরা আজকে র টিউন মেমোরি কারড চেনার উপাই ।
ভাল করে বুঝে নিন

মেমরী কার্ড আজকাল প্রায় নিত্য
প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিনত হয়েছে।
আগে যেখানে অল্প কিছু ইলেক্ট্রনিকস এর
দোকান ছাড়া এসব পাওয়াই দায় ছিল,
সেখানে আজ আনাচে কানাচের সব
ডিভিডি মোবাইল ফ্লেক্সীলোডের
দোকানেই মেমরী কার্ড পাওয়া যায়।
এগুলোর মূল্যও আগের তুলনায় অনেক
কমে গেছে। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে, এসব
মেমরী কার্ডের গুনগত মান কতটুকু,
বা সেটি বোঝারও বা উপায় কি? সেসব
প্রশ্ন নিয়েই আজকের এই লেখা।
যা যা জেনে নেয়া প্রয়োজন:
১। লাইফ-টাইম
সকল ব্র্যান্ডেড মেমরী কার্ডের
সাথে বলে দেয়া হয়
লাইফ-টাইম
গ্যারান্টী
। কিন্ত এই লাইফটাইম
গ্যারান্টীর অর্থ কি আমরা জানি?
অনেকেই মনে করছেন হয়ত লাইফ-টাইম
মানে আজীবন যে কোনও সময় সমস্যা হলেই
গ্যারান্টী পাওয়া যাবে, আর লাইফ-টাইম
কথাটির মানেও তো আসলে তাই। কিন্ত এই
জীবন সেই জীবন নয়, তা মেমরী কার্ডের
প্যাকেজিং পড়লেই বোঝা সম্ভব।
মেমরী কার্ড তৈরিতে ব্যবহার করা হয়
ফ্ল্যাশ মেমরী সার্কিট। এসব সার্কিট
থেকে কত বার ডাটা পড়া যাবে ও
ডাটা লেখা যাবে সেটির একটি নির্দিষ্ট
পরিমাণ রয়েছে, কমদামীর ক্ষেত্রে হয়ত
১০,০০০ বার আর বেশী দামীর
ক্ষেত্রে হয়ত ১০০,০০০ বার
বা ১,০০০,০০০ বার ও হতে পারে। এই
রিড/রাইট সাইকেলের লিমিটকেই ধরা হয়
মেমরী কার্ডটির লাইফ-টাইম। অর্থাৎ,
গ্যারান্টী ততদিনই পাবেন যতদিন এই
লাইফ-টাইম পার না হবে
অথচ মজার
ব্যাপার হচ্ছে, এই লিমিটের পর
কার্ডটি এমনিও নষ্ট হয়ে যাবে, তখন
দেখা যাবে কার্ড করাপ্ট আর ফরম্যাট করাও
সম্ভব হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে যা দেখে কিনবেন:
মেমরী কার্ডের
গ্যারান্টী না দেখে দেখা উচিৎ সেটার
লাইফ-টাইম রিড-রাইট সাইকেল কতবার।
যত বেশী হবে সেটী তত ভালো, অন্তত
১০০,০০০ বার না হলে সেটি কেনা উচিৎ
নয় (যদিনা আপনি কার্ডটি শুধু
ডাটা ব্যাকাপ রাখার কাজে ব্যবহার
না করেন,
মানে ফোনে বা ট্যাবে লাগানো অবস্থায়
থাকবেনা)।
২। কার্ডটির ক্লাস:
মেমরী কার্ডের ব্যবহারীক
সুবিধা অনেকটাই নির্ভর করে সেটীর
রিড/রাইট স্পিডের ওপর। বিশেষ
করে ডিএসএলআর ক্যামেরা বা হাই-
ডেফিনেশন ভিডিও করার সিস্টেম সহ
ফোনের জন্য এটি একটা বড় ব্যাপার।
তবে এই রিড-রাইট স্পিড বোঝার
সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে কার্ডটির
ক্লাস দেখে কেনা। ক্লাসটি মেমরী কার্ডের
গায়ে @ এর মত করে লেখা থাকে।
ক্লাস ২ = ২মেগাবাইট
প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৪ = ৪মেগাবাইট
প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৬ = ৬মেগাবাইট
প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ৮ = ৮মেগাবাইট
প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস ১০ = ১০মেগাবাইট
প্রতি সেকেন্ডে রাইট করা সম্ভব
ক্লাস U1 = ১০ মেগাবাইটের ওপর
স্পিডে রাইট করা যাবে প্রতি সেকেন্ডে
এইচডি ১০৮০পি ভিডিও রেকর্ড করার
জন্য অন্তত ক্লাস ৬ কার্ড কেনা উচিৎ।
তবে ৬ এর চাইতে ক্লাস ১০ বা ক্লাস U1
আরও বেশী পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।
(তবে নকল কার্ডের গায়ে লেখা ক্লাস
সম্পূর্ণ ভুয়া। সেগুলো ২ বা ৪ ক্লাসের
বেশী নয়)
৩। কার্ডটির সত্যিকারের নির্মাতা কে:
মেমরী কার্ড কিনতে গেলে ব্র্যান্ডের
অভাব পড়েনা। স্যামসাং, তোশিবা,
ট্র্যানসেন্ড, এ-ডাটা, এপ্যাসার,
স্যানডিস্ক, এমনকি কালাম নামেও কার্ড
পাওয়া যায়। তবে কেনার সময় এই বিষয়
বেশ সতর্কতা প্রয়োজন:
- স্যামসাং এর তৈরি কার্ড বাংলাদেশে খুব
কম পাওয়া যায়। ৯০% ক্ষেত্রেই
নিম্মমানের কার্ড স্যামসাং এর
নামে বাজারজাত করে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
- তোশীবার কার্ড ও একই, বেশীরভাগই
নকল কার্ড।
- স্যান ডিস্কের ক্ষেত্রেও অনেকটাই এমন,
তবে U1 কার্ডগুলো নকল হবার
সম্ভাবনা কম। ভালো নামী দোকান
থেকে কিনুন।
কার্ড কেনার সময় কার্ডের গায়ে কোনও
হলোগ্রাম আছে কিনা দেখে নিন।
হলোগ্রামে যদি KALAM
শব্দটি চোখে পড়ে তাহলে বেশী দাম
দিয়ে কেনা থেকে বিরত থাকুন,
কেননা তা নকল ও নিম্মমানের
তবে অল্পকিছুদিন ব্যবহার করার যোগ্য
(লাইফ-টাইম কম)।
ট্র্যানসেন্ড, এ-ডাটা বা এপ্যাসার
নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই, এদের
কার্ড ওরিজিনাল প্রচুর পাওয়া যায় ও
লাইফ-টাইম ও ১০০,০০০ বার এর বেশী।

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০১৪

আসসালামুয়াইকুম,
কেমন আছেন বন্ধুরা। আজ আপনারদের কাছে আমি একটি প্রয়োজনীয় কিন্তু ছোট্ট একটি টিউন নিয়ে হাজির হলাম। যা হল কোন এপস্‌ ব্যবহার না করে এন্ড্রয়েড ফোন থেকে স্কিনশট নেয়া যায়। আশা করছি এই টিউনটি আপনাদের অনেকেরই কাজে লাগবে।

আমাদের অনেক সময় আমাদের ফোনের স্কিনশট নেয়ার প্রয়োজন হয় বিশেষ করে টেকটিউনের বন্ধুদের টিউনটি সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য। কিন্তু আমাদের বেশির ভাগই জানি না কি করে স্মার্ট ফোন থেকে স্কিনশট নিতে হয়। আজ থেকে ইনসাআল্লাহ এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।















এবার কাজে নামার পালাঃ
আমাদের এন্ড্রয়েডের বিভিন্ন ভার্সন হওয়ায় স্কিনশট নেয়ের পদ্ধতিও বিভিন্ন। আজ আমি দেখাব এন্ড্রয়েড কিটক্যাট, জেলীবিন, আইস-ক্রিম স্যান্ডুইস ও জিনজারব্রেড এর স্কিনশট নেওয়ার পদ্ধতি।
১. কিটক্যাট, জেলীবিন ও আইস-ক্রিম স্যান্ডুইস 4+ ভার্সনের জন্যে নিচের নিয়মঃ
আপনার হ্যান্ডসেটের ভলিউম ডাউন বাটন ও পাওয়ার বাটন একসাথে দুই সেকেন্ডের মত চেপে ধরুন, এখন দেখুন আপনার মোবাইলে ছবি তোলার শব্দের মত শব্দ হয়ে স্কিনশট সেইভ হয়েছে। এটা পাওয়া যাবের আপনার ফোন মেমুরীর Pictures নামক ফোল্ডারে।
২. যদি আপনার ফোনটি হয় জিনজারব্রেড। তাহলে আপনি আপনার হ্যান্ডসেটের অপশন, ব্যাক বাটনে একসাথে প্রেস করে হোম বা মেনু বাটনে প্রেস করুন দেখবেন আপনার স্কিনশট সেইভ হয়ে গেছে।
[বিঃদ্রঃ এই কাজের ক্ষেত্রে দুটি বা তিনটি বাটন এক সাথে প্রেস করার জন্য টাইমিং ঠিক হওয়াটা গুরোত্বপূর্ণ্য ]

এখন থেকে ইচ্ছা মত স্কিনশর্ট শেয়ার করুন।
সবাই ভাল থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।

বুধবার, ১৪ মে, ২০১৪

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
এটা আমার প্রথম টিউন, ভুল হলে ক্ষমা করবেন । প্রথমেই আমরা পরিচিত হব যে সকল যন্ত্র-পাতি দিয়ে কাজ করব।মোবাইল রিপিয়ার(মেরামত)করতে যে সকল যন্ত্র-পাতি লাগে তার মাঝে উল্লেখ করা যাই-
·         মোবাইল টুল বক্স,
·         হটগান,
·         এভোমিটার,
·         পাওয়ার সাপ্লাই,
·         কুইক চার্জার,
·         একটি টেবিল লেম্প(মেগ্নিফ্লাইং গ্লাস সহ),
·         লিড কয়েল,
·         রজন,
·         মেজিক তার,
·         থিনার,
·         সোল্ডারিং পেস্ট,
·         একটি টুথ ব্রাশ,
·         হিট বক্স ইত্যাদি।

মোবাইল টুল বক্স :মোবাইল টুল বক্স এ সাধারনত যা থাকে-

·         একটি T6
·         একটি  T4
·         একটি  star
·         একটি মাইনাস
·         দুইটা টুইজার
·         একটি নুস প্লাস
·         একটি কাটিং প্লাস ইত্যাদি।

চিত্র মোবাইল টুল বক্স-














হট গান :সোল্ডারিং ওইয়ার,তাতাল।
মোবাইল টুল বক্স এ যে সকল টুলসের পরিচয় করিয়ে দিলাম,তার কাজ হচ্ছে মোবাইলকে খুলা ও ফিটিং করা।আর হটগান এর কাজ হচ্ছে মোবাইলের আইসি উঠানো-বসানো,সোল্ডারিং,ঝালাই করা ইত্যাদি।
চিত্র হট গান-






















কারেন্টঃ

মোবাইলের কাজ করতে আমাদের কারেন্ট ব্যবহার করতে হবে,তাই এ কারেন্ট সম্পর্কে আপনাদের ছোট একটা ধারণা দেয়।কারেন্ট মূলত দুই প্রকার-
·         AC-AC হচ্ছে Alternative Current.যে কারেন্ট বা বিদ্যুত চলার সময় তার গতিপথ পরির্বতন করে চলে তাকে এসি কারেন্ট বলে।
·         DC-DC হচ্ছে Direct Current.যে কারেন্ট বা বিদ্যুত চলার সময় তার গতিপথ পরিবর্তন
করেনা(এক মুখি হয়ে চলে)তাকে ডিসি কারেন্ট বলে।

এক্সট্রা নলেজঃ

·         মোবাইল সেটে যদি পাওয়ার না আসে তাহলে প্রথমেই চেক করব ব্যাটারি।
·         মোবাইলে চার্জ দেয়ার সময় ব্যাটারি বার ফুল দেখায়,কিন্তু চার্জার খুলে ফেললে ব্যাটারি বার খালি দেখায় তাহলে বুঝতে হবে চার্জিং আইসি খারাপ।
·         মোবাইলে চার্জ দেয়ার সময় যদি চার্জ হতে সমস্যা করে,চার্জ এক বার হয় আবার হয়না তাহলে প্রথমে চার্জার ঠিক আছে কিনা দেখব।
আপনাদের কমেন্টেই বলে দিবে আমি এই বিষয়ে সামনে টিউন করব কি না ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।

যারা মোবাইল সার্ভিসিং শিখবেন এই দিকে আসেন । 2 (A Z)
আজ আবার আপনাদের সামনে হাজির হলাম,আমার ২য় টিউন নিয়ে। আমার প্রথম টিউন যারা দেখতে চান চলে যেতে পারেনএখানে 
আজ আপনাদের সামনে একটি ডিভাইস নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের কাজ করতে অত্যন্তপ্রয়োজন যে বুমাটি ;-)  সেটি হচ্ছে এভোমিটার। এভোমিটার দুই ধরনে হয়ে থাকে। এনালগ ও ডিজিটাল। আমি এনালগ নিয়েই আলোচনা করবকারণ ৯৮% এটা ব্যবহার হয়

চলুন এক নজর দেখে নেই এভোমিটার















Avometer:- কাজের দিক দেয়ে এভোমিটার কে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
·         AC Voltage
·         DC Voltage
·         DC mili Ampear

·         Ohm







AC Voltage:-Ac voltage মাপার সময় এভোমিটার সিলেক্টর AcV 250 এ রেখে মাপতে হবে,তখন Avometer এর চতুর্থ স্কেল দেখতে হবে।
Dc Voltage:- Dc Voltage মাপার সময় Avomiter selector Dc V 10 রেখে মাপতে হবে,তখন মিতারের ২য় স্কেল দেখতে হবে।
Dc Mili Ampiear :- ব্যাটারীর এম্পিয়ার মাপার সময় dcma25 আথবা 0.25 এ রেখে মাপতে হবে।ব্যাটারী ভাল থাকলে মিটারের রিডিং দ্রুত দেখাবে।
Ohm:-Avometer Selector x1 থেকে x10k রেখে মাপতে হবে,তখন মিটারের প্রথম স্কেল দেখতে হবে।











Charger:-Avometer Selector Dc V10 রেখে মাপতে হবে,চার্জার যদি ভাল হয় তাহলে ৬-১০ ভোল্টিজ দেখাবে,নষ্ট হলে দেখাবে না।6 Voltage এর নিচে দেখালে চার্জ হবে না,আবার যদি 10v এর উপরে দেখাই তাহলে জানবে চার্জার ভাল না
Adoptor বা কুইক চার্জারঃ-এর কাজ হচ্ছে ব্যাটারী কে তাড়াতাড়ি চার্জ দেয়া।সর্বোচ্চ দুই মিনিটে চার্জ হবে।

যারা মোবাইল সার্ভিসিং শিখবেন এই দিকে আসেন । 3 (A Z)
আসসালামু আলাইকুম।আশা করি সবাই ভাল আছেন ।আজ আমি আপনাদের সামনে হাজির ৩য় টিউন টা নিয়ে ।আজকের টিউন খুবই গুরুক্ত বহন করে ।বকবক না করে চলে যাই মূল পর্বে
Speaker:










যার মাধ্যমে আমরা কথা শুনতে পায়, তার নাম Speaker
Speaker মাপার নিয়ম-এভোমিটারের x1বা x10 রেখে মাপতে হবে,স্পিকার ভাল থাকলে শব্দ হবে,নস্ট হলে কোন প্রকার শব্দ হবে না।আর মিটারের কাটা যদি ১০০ উহম এর উপরে চলে যায় তাহলে স্পিকারের শব্দ আস্তে হবে।শব্দ না হলে বুঝেতে হবেSpeker খারাপ।
Ringer:














যার মাধ্যমে আমরা কোন Massage বা তথ্য আসলে শুনতে পাই,মোবাইলে কল আসলে রিং এর শব্দ যার মাধ্যমে বেজে উঠে তাকে Ringer বলে।
Ringer মাপার নিয়ম- এভোমিটার সিলেক্টর x1বা x10 রেখে মাপতে হবে,ভাল থাকলে শব্দ হবে এবং মিটারের কাটা ৫-১৫ওহম দেখাবে।
Vibrator:











 Vibrator এর কাজ হচ্ছে মোবাইল সেট কে কাঁপানো।
Vibrator মাপার নিয়ম-Avometer Selector x1বা x10 এ রেখে মাপতে হবে,ভাইব্রেটর ভাল থাকলে ঘুরবে,নষ্ট থাকলে ঘুরবে না।
Microphone:












মাধ্যমে আমাদের কথা অপর প্রান্তে শুনতে পাই তাকে মাইক্রোফোন বলে বা এর নাম Microphone
Microphone মাপার নিয়ম- এভোমিটার সিলেক্টর x1 বা x10 রেখে মাপতে হবে,ভাল থাকলে মিটারের রিডিং ৫-১৫ ওহম এর মধ্যে দেখাবে।
L.E.D : (Laight Emeting Diode)_
Mobile এর কিপেড ও ডিসপ্লেতে লাইট বা আলো জলার জন্য যা ব্যবহার করা হয়েছে তাকে L.E.D বলে।
এল ই ডি  মাপার নিয়ম-এভোমিটার x1 বা x10 এ রেখে মাপতে হবে,ভাল থাকলে জলবে,নষ্ট হলে জলবে না।
Fuse:Fuse এর কাজ হচ্ছে মাদার বোর্ডের সম্পুর্ণ ভোল্টেজ কে কনট্রোল কর।
Fuse সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।Fuse সাধারনত কালো রং এর হয়ে থাকে,এর দুই পাশে silver বা সাদা রঙ এর দাগ দেয়া থাকে।আবার Fuse সাধারনত অর্ধেক কালো,অর্ধেক সাদা রং এর হয়ে থাকে।(ক্ষেত্র বিশেষে Fuse অন্যান্য রং এর হয়ে থাকে)
Fuse মাপার নিয়ম-এভোমিটার এর x1k এ রেখে মাপতে হবে,ভাল থাকলে 0ohm  দেখাবে,নষ্ট হলে দেখাবে না।
আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ্‌র রহমতে সকলেই ভাল আছেন। আমার দ্বিতীয় টিউনে অনেকেরই সমস্যা হয়েছিল সিরিজ বোর্ড বানাতে ।তাই আজকের টিউন শুধু সিরিজ লাইন বোর্ড ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ তাই কাজ করার সময় খুবই খুবই সতর্ক থাকবেন।
X-Ray মানব দেহের জন্য একটি ক্ষতিকর রশ্মি তাই বলে কি মানুষ X-Ray হতে বিরত থাকে ? না ! অনেকের জীবন জীবিকার অবলম্বন এরকম অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ এবং দুর্ঘটনাই আহতদের সঠিক চিকিৎসার অংশ এ এক্সরে ।
আসুন কথা আর না বাড়িয়ে শুরু করে দেই আজকের কাজঃ-................................
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিঃ- প্লায়ারস ও স্ক্রু ড্রাইভার।
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ- ৪০-২০০ ওয়াটের ক্লিয়ার বুল্ব,সুইচ বোর্ড, টুপিন সকেট, সুইচ, বাটাম হোলডার, টুপিন প্লাগ ও তার।




















আপনার প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত সুইচ, সকেট, ফিউজ, ইন্দিগেটার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
কারযপ্রণালীঃ- চিত্রে বোঝানর জন্য খোলা অবস্থাই সংযুক্ত করেছি।
এবার উপদানগুলী সুইচ বোর্ডে ভালভাবে স্ক্রু দিয়ে সংযুক্ত করুন । চিত্রে সাদাকালো অংশ ডায়াগ্রাম ও রঙ্গিন উপাদানের চিহ্নিত চিত্র । চিহ্নিত চিত্র দেখে সঠিকভাবে সংযুক্ত করি













এবার আমার ব্যবহারক্রীত বোর্ডটির সকল অংশ চিহ্নিত করে ডায়াগ্রামসহ বর্ণনা করছি। ...............
আমার বোর্ডটিতে ২ নং চিত্র এর প্রদর্শিত উপাদান ছাড়া অতিরিক্ত ১ টি ফিউস, ১ টি ইন ইন্দিগেটার, ও টুপিন সকেট বাবহার করেছি। ইন্দিগেটারতির কভার খুলে শুধু মূল উপাদান সুইচ বোর্ডের সাথে সংযুক্ত করেছি।এতে বোর্ডের ডিজাইন পালটানোর সাথে সাথে কিছু জাইগা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পেরেছি। 













এবার চিত্র ৩ এর মত করে সকল উপাদান সঠিকভাবে সংযুক্ত ঙ্করুন ।
তাহলেই আপনার সিরিজ বোর্ড তৈরি।
সিরিজ বোর্ড পরীক্ষাঃ- পরীক্ষা করতে লাগবে টুপিন সহ অল্প একটু তার।
সিরিজ বোর্ড পরীক্ষা পদ্ধতিঃ- এবার টুপিন সহ তারটি খোলা প্রান্ত চিত্রের মত করে ধরি অন্য হাত দিয়ে টুপিন সিরিজের সকেটে প্রবেশ করি। এখুন খোলা প্রান্ত দুটি চিত্রের মত স্পর্শ করি। তাহলে বাল্বটি জ্বলবে। তারের প্রান্ত দুটি খুলে দিন বাল্বের আল বন্ধ হবে।













সিরিজ বোর্ডের সুইচের কজঃ- সুইচ অন করলে বাতি জ্বলবে। ফলে আলো জালানর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
সুইচ অন অবস্থাই সিরিজ কাজ করেনা।
এই সুইচ ব্যবহার করলে রাইস কুকার, ওভেন, আয়রন (লন্ড্রি) ইত্যাদি পরীক্ষা করতে বাড়টি সুবিধা পাবেন।
উদাহরনঃ- সুইচ অন অবস্থাই আয়রন (লন্ড্রি) এর প্লাগ সিরিজ সকেটে প্রবেশ করান দেখবে আলো জ্বলছে এবার সুইচ অন করুন। আলো একটু উজ্জলতা পেয়েছে। সুইচ অন অফ করুন, আলো কম বেশি হচ্ছে। এতে বোঝা যাই আয়রন (লন্ড্রি)টি ভাল আছে। কিন্তু যদি আলো না জ্বলে বা সম্পুরন জ্বলে তাহলে আয়রন (লন্ড্রি)টি নষ্ট। 
সতর্কতাঃ- ১. ইলেক্ট্রনিক্স সম্পর্কে ধারনা না থাকলে চেষ্টা না করাই ভাল।
২. যে উপাদানগুলো নেই কাজ করবেন সেগুলি ত্রুতি মুক্ত হতে হবে।
৩. বোর্ডটি সম্পূর্ণ হলে আর একবার চিত্রের সাথে ভাল করে মেলানর পর সব কিছু ঠিক থাকলে বৈদুতিক সংযোগ দিন। অসম্পূর্ণ অবস্থাই সংযোগ দিবেনা।
৪. সংযোগের স্ক্রুগুলো ভাল ভাবে টাইট দিন। ঢিলা থাকলে ফাআরিং করবে তারাতারি নষ্ট হাবে।
৫. এসকল ঝুঁকিপূর্ণ কাজে একজন সহকর্মী রাখুন। কোন ত্রুটি হলে মেইন সংযোগ বন্ধ করতে পারে।
৬.সিরিজ সকেট ছাড়া অন্য সকেটে সিরিজ পরীক্ষার প্লাগ প্রবেশ করাবেননা। অন্য সকেটে পরীক্ষার প্লাগ প্রবেস করালে আগুন ধরতে পারে তাই ভুল করেও সাধারণ সকেটে পরীক্ষার প্লাগ প্রবেশ করাবেন না