মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০১৪

আসসালামু আলাইকুম ,
আসা করি সাবাই ভাল আছেন , আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করবো এবং দেখাবো পৃথিবীর শীর্ষস্থান ওয়েবসাইট গুগল ফেসবুকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস  তাহলে চলুন শুরু করা যাক -
Google
ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী হয়েছে অথচ গুগল এর নাম শোনেননি বা গুগল সর্ম্পকে কিছুই জানেন না, এমনটা না হওয়ায় কঠিন। আমাদের ইন্টারনেটে সাধারনত কোন কিছুর প্রয়োজন হয়, যেমন-কোন ইনফরমেশন, সফটওয়্যার ইত্যাদি সাথে সাথেই আমরা গুগলে সার্চ দিই। এরপর অনেক ফলাফল থেকে নিজের প্রয়োজনীয় ফলাফল বেছে নিই। বর্তমানে গুগল হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী সার্চ ইঞ্জিন। ইনকর্পোরেটেড একটি মার্কিন টেকনোলজি কোম্পানী এবং তাদের গুগল র্সাচ ইঞ্জিনের এবং অনলাইন বিজ্ঞাপনের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। গুগল সার্চ ওয়েবের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন। গুগলের লক্ষ্য হচ্ছেবিশ্বের যাবতীয় তথ্য সুবিন্যস্ত্ করা এবং সেগুলো র্সবসাধারণের জন্য উপযোগী করে প্রকাশ করা। আমরা অনেকেই গুগলের ইতিহাস সর্ম্পকে জানি না
গুগলের প্রতিষ্ঠাতা স্ট্যানর্ফোড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ছাত্র ল্যারি পেজ এবং সার্গেই ব্রনি গুগলের প্রধান কার্যালয়ক্যালফোর্নিয়া মাউন্টেইন ভিউনামক শহরে। এর মূলমন্ত্র হচ্ছে-”বিশ্বের তথ্য সন্নিবেশিত করে তাকে সবার জন্য সহজলভ্য করে দেয়া। আর এর প্রাতিষ্ঠানিক মূলমন্ত্র হচ্ছে -”Don’t be evil” ১৯৬৬ সালে ক্যালফোর্নিয়ার স্ট্যানর্ফোড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন পিএইচডি কোর্সের ছাত্র ল্যারি পেজ এবং সার্গেই ব্রনি এর কাজ শুরু করে। ১৯৯৮ সালের ৭ই সেপ্টেম্বরে ল্যারি পেজ এবং সার্গেই ব্রনি একটি প্রাইভেট লিমিটেড হিসেবে গুগল প্রতিষ্ঠা করে। ২০০৪ সালের ১৯শে আগস্ট এটি পাবলিক লিমিটেডে রূপান্তরিত হয়। প্রতিনিয়ত নতুন সেবা, নতুন পণ্য দিয়ে বিশ্বে নিজেদের প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলছে। বিজ্ঞাপন জগতে নিজেদের অবস্থান করেছে সুদৃঢ়। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানী কিনে এবং অংশীদারিত্ব নিয়ে নিজেদের বহুমুখীতা সমৃদ্ধ করছে। তাই তো সার্সের পাশাপাশি -মেইল, ভিডিও শেয়ারং, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি বিষয়ে গুগলের সেবা রয়েছে
প্রায় ১৬,০০০ লোকের কর্মসংস্থান জুগিয়েছে এই গুগল। গুগলের মোট আয় হচ্ছে .০৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার(২০০৬), প্রতিনিয়তই গুগল সমৃদ্ধ করছে তাদের তথ্য ভাণ্ডার। বর্তমানে গুগলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে
সূত্রঃ ষ্টেটনিউজ

Facebook
মার্ক জুকারবার্গ, হার্ভার্ড তার ২য় বর্ষ চলাকালীন সময়ে, অক্টবার ২৮, ২০০৩ তৈরি করেন ফেসবুকের পূর্বসূরি সাইট ফেসম্যাস এতে তিনি হার্ভার্ডের টি হাউস এর শিক্ষার্থীদের ছবি ব্যাবহার করেন। তিনি দুইটি করে ছবি পাশাপাশি দেখান এবং হার্ভার্ডের সব শিক্ষারথিদের ভোট দিতে বলেন। কোন ছবিটি হট আর কোনটি হট নয়।হট অর নট এজন্য মার্ক জুকারবার্গ হার্ভার্ডের সংরক্ষিত তথ্য কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ বা হ্যাঁক করেন।ফেসম্যাস সাইট মাত্র ঘণ্টায় ৪৫০ ভিজিটর ২২০০০ ছবিতে অন লাইন এর মাধ্যমে ভোট দেন


২০০৪: ফেসম্যাস হতে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০৪ এর জানুয়ারিতে মার্ক তার নতুন সাইট এর কোড লেখা শুরু করেন এবং ফেব্রুয়ারিতে হার্ভার্ডের ডরমিটরিতে দিফেসবুক এর (thefacebook.com) উদ্বোধন করেন। শিঘ্রই মার্ক জাকারবার্গ এর সাথে যোগ দেন ডাস্টিন মস্কোভিৎজ (প্রোগ্রামার), ক্রিস হুগেস এডোয়ার্ডো স্যাভেরিন (ব্যবসায়িক মুখপাত্রও) এবং অ্যান্ডরু ম্যাককলাম (গ্রাফিক্ আর্টিস্ট) জুনে প্যালো আল্টোতে অফিস নেওয়া হয়। ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছায়

0 মন্তব্য(গুলি) :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন