শুক্রবার, ২ মে, ২০১৪

চাকরির ইন্টারভিউতে গিয়ে কোনো বিষয়ে কথা বলতে না পারলে তা ব্যর্থতাই ডেকে আনে। এ ছাড়াও রয়েছে নানা বিষয়, যেগুলো চাকরির জন্য প্রয়োজন হয়। অনুশীলনের ফলে মানুষ অনেক বিষয় নিখুঁতভাবে করতে সক্ষম হয়। শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার আগেই বিষয়গুলো অনুশীলন করে নিলে ভবিষ্যতে চাকরির ইন্টারভিউতে গিয়ে বিব্রত হতে হবে না। এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফোর্বস।
১. ভদ্র হ্যান্ডশেক
নিষ্প্রভ হ্যান্ডশেক মানে অনেক সময় বলা যে,
আমি এ চাকরিতে আগ্রহী নই। এ কারণে চাকরিপ্রার্থী হিসেবে কোথাও ইন্টারভিউ দিতে গেলে তাদের সঙ্গে ভালোভাবে হ্যান্ডশেক করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। এটি হবে দৃঢ় ও ভদ্র হ্যান্ডশেক, হাঁড় ভাঙার মতো জোরালো নয়।
২. নিজের বর্ণনা দিন ৩০ সেকেন্ডে
আপনার উপরে উঠার সিঁড়ি ৩০ সেকেন্ডের একটি বক্তব্য, যেখানে নিজেকে নিয়ে কিছু কথা বলতে হবে আপনাকে। ন্টারভিউতে আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে,
নিজের সম্বন্ধে ৩০ সেকেন্ডে কিছু বলুন। এ সময় চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত আপনার ব্যক্তিগত বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে স্পষ্টভাবে।
৩. দ্রুত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিন
আপনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কী? এ প্রশ্নটি বহু ইন্টারভিউতেই করা হয়। এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে যাবেন না যে, আমার কোনো দুর্বলতা নেই। ইন্টারভিউয়াররা এমন উত্তর আগেই বহুবার শুনেছেন। তার বদলে আপনার বাস্তব এমন কোনো সমস্যা, যা আপনি নিশ্চিতভাবে সমাধান করতে চলেছেন, তেমন কোনো বিষয় তুলে ধরাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৪. আচরণগত বিষয় নিয়ে প্রশ্নের উত্তর ঠিক করুন
আপনার কোনো আচরণ কিংবা কারো সঙ্গে গণ্ডগোলের সময়কার কাহিনী অনেক সময় ইন্টারভিউয়াররা জানতে চায়। সেসব প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দেবেন, তা ঠিক করে নিন।





৫. নেটওয়ার্কিং
বাস্তবে অধিকাংশ চাকরিই কোনো না কোনোভাবে পরিচিত মানুষের মাধ্যমেই হয়। এ কারণে নেটওয়ার্কিং বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালো নেটওয়ার্কিং মানে আপনি ভালো চাকরির সম্ভাবনা রাখেন। অন্যদেরকে সাহায্য করার সত্যিকার মানসিকতা থাকলে তা এক্ষেত্রে ভালো কাজ দেয়। নেটওয়ার্কের আকারের চেয়ে তার গভীরতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কতো মানুষের সঙ্গে আপনার পরিচয় আছে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কতো মানুষ বাস্তবে আপনাকে মূল্যবান বলে মনে করে।
৬. মানুষের নাম মনে রাখুন
ইন্টারভিউতে আপনার কোনো রেফারেন্স উল্লেখ করতে হলে নিশ্চয়ই
ওমুক মানুষ, তমুক মানুষ কিংবা একটু আগে আপনার প্রতিষ্ঠানের যেই লোকটার সঙ্গে দেখা হলো.. এভাবে কথা বলবেন না। তার বদলে মানুষের নাম মনে রাখতে হবে স্পষ্টভাবে। ইন্টারভিউতে এটি কাজে লাগবে।
৭. তথ্য সংগ্রহ
কোনো প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউয়ের জন্য যাওয়ার আগেই সে প্রতিষ্ঠানের নানা বিষয় নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। আর এসব বিষয় আগে থেকেই অনুশীলন করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান বিষয়ে আগে থেকেই যতোটা সম্ভব জেনে নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট, সর্বশেষ বিজ্ঞাপন ও ক্যাম্পেইন, ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ইত্যাদি ঘাটা অভ্যাস করতে হবে।
৮. প্রশ্ন করা শিখুন
যখন কোনো ইন্টারভিউয়ের ভেতর আপনাকে একটি প্রশ্ন করতে বলা হয়, তখন আপনার নিশ্চুপ থাকা উচিত নয়। এখানে উদ্ভাবনী প্রশ্ন করে আপনি প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন।
এসব প্রশ্নের মধ্যে থাকতে পারে- চাকরিটিতে আমার উন্নতির সম্ভাবনা কেমন?
৯. প্রেজেন্টেশন প্রস্তুত
বর্তমানে বহু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ম্যানেজাররা চাকরিপ্রার্থীদের পেজেন্টেশন তৈরি করতে বলে। এজন্য আগে থেকেই দ্রুত প্রেজেন্টেশন তৈরির অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন।
১০. ভিডিও কনফারেন্সে অভিজ্ঞতা
বর্তমানে ইন্টারভিউ বোর্ডে ভিডিও কনফারেন্স প্রায়ই ব্যবহৃত হচ্ছে। স্কাইপ বা অন্য ভিডিও কনফারেন্স টেকনোলজি এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ইন্টারভিউ বোর্ডের কোনো কোনো সদস্য দূর থেকেই ভিডিওর মাধ্যমে আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ক্যামেরা থেকে কতো দূরে থাকতে হবে, গলার স্মর কোন পর্যায়ে থাকবে, এসব অনুশীলন করে নিতে হবে। আর ভিডিওতে আপনার মুখের ভাব কেমন রাখতে হবে, এসব বিষয়ও জেনে নিন। আপনার বাসায় ভিডিও কনফারেন্স করতে হলে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিষ্কার রাখতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে লাইটিংয়ের বিষয়েও। আর সবচেয়ে বড় বিষয় এগুলোর জন্য অনুশীলন করতে হবে আগে থেকেই।

0 মন্তব্য(গুলি) :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন